ঢাকা , সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ , ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ


আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-০৬ ০০:৫৯:২৫
চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ চাঁদাবাজির অভিযোগে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ


 
 
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন নিজাম মীরবহরের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ জারি করেছে জেলা বিএনপি।
 
আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
 
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে কাঁঠালিয়া যুবদলের আমুয়া ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক নেতাকর্মী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নিজাম মীরবহরের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে শোকজ নোটিশ জারি করেছে।
 
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নিজাম মীরবহর তার দলীয় দায়িত্বের অপব্যবহার করে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, দলের ত্যাগী নেতা সুমন খলিফার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় তাকে একটি রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো হয়, যাতে তিনি আওয়ামী ঘরনার ব্যক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন হন। এছাড়া ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন এবং দলের নেতাকর্মীদেরও সেই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এক অডিও ক্লিপেও তার এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
 
অভিযোগে আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ফলে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে বলা হয়েছে তাকে।
 
এ বিষয়ে নিজাম মীরবহর বলেন, “আমাদের উপজেলা বিএনপি অফিস যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। সুমন খলিফা তাদের অন্যতম। শাহজাহান ওমরের নির্দেশেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তাই তাকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, সুমন খলিফা বিগত সরকারের সময় লাখ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন এবং এখনো সেইসব কাজ চলমান রয়েছে।
 
তিনি আরও জানান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তার বিষয়ে কোনো তদন্ত না করেই শোকজ চিঠি দিয়েছেন, অথচ সঠিক নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগের পর তদন্ত করার কথা ছিল।
 
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপি এখন এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ